দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধা নিয়ে এসেছে ফাইভ–জি প্রযুক্তি। তবে এই প্রযুক্তির তরঙ্গ মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর—এমন ধারণা অনেকের মধ্যেই রয়েছে। কেউ কেউ আশঙ্কা করেন এটি ক্যানসারসহ দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
কিন্তু বিজ্ঞান বলছে অন্য কথা। সম্প্রতি জার্মানির কনস্ট্রাক্টর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এই বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা পরিচালনা করেছেন, যার ফলাফল রীতিমতো স্বস্তিদায়ক।
গবেষণার মূল বিষয়বস্তু
বিজ্ঞানীরা ফাইব্রোব্লাস্ট ও কেরাটিনোসাইট নামের মানবত্বকের কোষের ওপর ২৭ গিগাহার্টজ থেকে ৪০.৫ গিগাহার্টজ ফ্রিকোয়েন্সির ফাইভ–জি তরঙ্গ প্রয়োগ করেন। উদ্দেশ্য ছিল, এই তরঙ্গ ত্বকের কোষে কোনো জৈবিক পরিবর্তন ঘটায় কিনা তা পরীক্ষা করা।
ফলাফল:
ফাইভ–জি তরঙ্গের সরাসরি এক্সপোজারেও কোষে জিনগত পরিবর্তন, ডিএনএ মিথাইলেশন বা কোষের কার্যকারিতায় কোনো উল্লেখযোগ্য প্রভাব দেখা যায়নি।
তরঙ্গ ও মানবদেহের প্রতিক্রিয়া
গবেষণায় আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে:
- ৩ গিগাহার্টজ পর্যন্ত তরঙ্গ ত্বকের ১০ মিমি গভীরে প্রবেশ করতে পারে
- ১০ গিগাহার্টজ বা তার বেশি তরঙ্গ মাত্র ১ মিমির বেশি গভীরে প্রবেশ করতে পারে না
- এই তরঙ্গগুলো ত্বকে জৈবিক মিথস্ক্রিয়া তৈরি করতে সক্ষম নয়
এই গবেষণার বিস্তারিত প্রকাশিত হয়েছে PNAS Nexus নামের আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক জার্নালে।
বিজ্ঞানীদের বার্তা: ভয় নয়, সচেতনতা
গবেষকরা জানিয়েছেন, এই গবেষণায় সর্বোচ্চ শক্তিশালী তরঙ্গ ব্যবহার করা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা নির্দেশিকা অনুসরণ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি শনাক্ত হয়নি।
তাই প্রযুক্তিকে ভুলভাবে না বুঝে, যাচাই করে গ্রহণ করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
সারসংক্ষেপ
- ফাইভ–জি তরঙ্গ শরীরের গভীরে প্রবেশ করতে পারে না
- কোষের জিন বা ডিএনএ-তে কোনো ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে না
- বর্তমান বৈজ্ঞানিক গবেষণা অনুযায়ী ফাইভ–জি নিরাপদ
Post a Comment
If you any Question, Please contact us.