২০২১-২২ অর্থবছরের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ৫১ বিলিয়ন ডলার


বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী বলেছেন, ২০২১-২২ অর্থবছরের রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের সময় দেশের এবং আন্তর্জাতিক সব বিষয় বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এর মধ্যে ৪৩ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি হবে এবং সেবা খাত থেকে ৭ দশমিক ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রফতানি হবে।


বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ভার্চুয়ালি ২০২১-২২ অর্থবছরের রফতানি লক্ষ্য নির্ধারণ ও ঘোষণা-সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী এতে সভাপতিত্ব করেন ।


বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এবার ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ রফতানি প্রবৃদ্ধি ধরে এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আমাদের দেশের রফতানির ধারা অব্যাহত থাকলে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব।


অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান বক্তব্য রাখেন।


সভায় ঘোষিত ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রফতানির লক্ষ্যমাত্রাকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বিকেএমইএর ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম, বিজিএমইর সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান, লেদার অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুল ইসলাম এবং টেনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শাহীন আহমেদ।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত অর্থবছরে রফতানির লক্ষ্য চিল ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। এর মধ্যে পণ্য রফতানির লক্ষ্য ছিল ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের এবং সেবা খাতের রফতানির লক্ষ্য ছিল ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের।


পণ্য খাতে রফতানি হয়েছে ৩৮ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের এবং সেবা খাত থেকে ৬ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। লক্ষ্যমাত্রার ৯৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ অর্জিত হয়েছে।


চলতি অর্থবছরে রফতানির লক্ষ্য অর্জনে সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব কভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশের রফতানি খাত সচল রয়েছে এবং রফতানি খাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। রফতানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধি এবং বাজার সম্প্রসারণে সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।


বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার বেশকিছু সেক্টরকে পণ্য রফতানিতে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য প্রকল্প হাতে নিয়েছে। আমাদের দেশের তৈরি পোশাকের পাশাপাশি লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, আইসিটি, লেদার ও লেদারগুডস, প্লাস্টিক এবং কৃষিজাত পণ্য রফতানির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।


এ খাতগুলোকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার জন্য বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। দেশের রফতানি বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন দেশের স্বার্থে পিটিএ বা এফটিএর মতো বাণিজ্য চুক্তি করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া রফতানি বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত কমার্শিয়াল কাউন্সেলররা কাজ করছেন।


সূত্রঃ অনলাইন

Post a Comment

If you any Question, Please contact us.

Previous Post Next Post