![]() |
যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো বাদে অন্য দেশ থেকে ‘গালফ অব মেক্সিকো’র নাম গালফ অব মেক্সিকো (গালফ অব আমেরিকা) দেখা যাচ্ছেছবি: গুগল ম্যাপসের স্ক্রিনশট |
গুগল ম্যাপসে মেক্সিকো উপসাগরের নাম ‘গালফ অব মেক্সিকো’ থেকে ‘গালফ অব আমেরিকা’ পরিবর্তন করায় গুগলের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে মেক্সিকো সরকার। এই বিতর্ক শুরু হয়েছিল সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে।
কীভাবে শুরু হয় এই বিতর্ক?
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সংস্থাগুলোকে ‘গালফ অব আমেরিকা’ নাম ব্যবহার করতে বলার পর ফেব্রুয়ারিতে গুগল তাদের মানচিত্রে এই পরিবর্তন আনে। ফলে মার্কিন ব্যবহারকারীরা নতুন নাম দেখতে পাচ্ছেন, মেক্সিকান ব্যবহারকারীরা আগের নাম, এবং অন্য দেশের ব্যবহারকারীরা দুটোই দেখছেন — ‘গালফ অব মেক্সিকো (গালফ অব আমেরিকা)’।
মেক্সিকোর প্রতিক্রিয়া
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউম এই পরিবর্তনকে একতরফা ও আন্তর্জাতিক নিয়মবহির্ভূত বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “কোনো দেশ আন্তর্জাতিক জলসীমাসংলগ্ন কোনো ভূখণ্ডের নাম একতরফাভাবে পরিবর্তন করতে পারে না।”
উপসাগরের ভৌগোলিক বাস্তবতা
এই উপসাগর ঘিরে রয়েছে মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কিউবা-র উপকূল। বহু যুগ ধরে এর নাম আন্তর্জাতিকভাবে ‘গালফ অব মেক্সিকো’ হিসেবে স্বীকৃত।
আইনি পদক্ষেপ ও গুগলের বক্তব্য
মেক্সিকো সরকার বারবার অনুরোধ করলেও গুগল নাম বদলের সিদ্ধান্তে অটল ছিল। গুগলের সরকারি নীতি বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস টার্নার জানান, “আমরা দীর্ঘদিনের নীতিমালার আলোকে পরিবর্তন করেছি এবং নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রেখেছি।”
অ্যাপলের অবস্থান
গুগলের পাশাপাশি অ্যাপল ম্যাপস-এও একই পরিবর্তন দেখা গেছে, তবে মেক্সিকো এখনো অ্যাপলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়নি।
উপসংহার
এই ঘটনার মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর মানচিত্র ও ভৌগোলিক নাম ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতা থাকা জরুরি। মেক্সিকো সরকারের দাবি আন্তর্জাতিকভাবে সমর্থিত এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ।
লেখক: Neemkuni Blog Team
তথ্যসূত্র: আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম
আরও পড়ুন: এজ কম্পিউটিং কেন ভবিষ্যতের ডেটা প্রসেসিং প্রযুক্তি
Post a Comment
If you any Question, Please contact us.