www.neemkunibd.com


একটি ল্যাপটপ বর্তমান আর ভবিষ্যতের জন্য একটি বড় বিনিয়োগ, আর তাই আপনি যদি ইংরেজির একটি কথা ‘ Measure Twice, Cut Once’ মেনে নিজের ল্যাপটপ কিনতে চান তবে এবার আপনি নতুন ল্যাপটপ কেনার আগে এই বিষয় গুলি অবশ্যই খেয়াল রাখুন। ল্যাপটপ কেনার আগে আপনাদের এই ১২ টি জিনিসের দিকে অবশ্যই খেয়াল করা উচিত।

১. ব্রান্ড

বর্তমান সময়ে বাজারে বিভিন্ন ব্রান্ডের ল্যাপটপ কিনতে পাওয়া যায়। যেমন Asus, Dell, HP, Acer, Lenovo, Xiaomi ইত্যাদি। আপনি যদি ভালো ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ কিনতে চান তাহলে আপনাকে দেখতে হবে যে কোন সংস্থার ল্যাপটপ নতুন ফিচার ও দামের মধ্য়ে আসছে।
আপনি চাইলে এইচপিও নিতে পারেন, তবে এইচপির পারফর্মেন্স এখন আগের মতো নেই, তবুও ভালোই। এছাড়া মোটামোটি মানের ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ নিতে চাইলে নিতে পারেন লেনেভো কিংবা এসার। এই দুটো ব্র্যান্ডের পারফর্মেন্স খুবই ভালো। এই ল্যাপটপগুলোর প্রাইস নির্ভর করবে আপনার কনফিগারেশনের উপর।


২. সাইজ

আপনি কোন কাজের জন্য় ল্যাপটপ কিনতে চান সেটার উপর ভিত্তি করে আপনার ল্যাপটপের সাইজ ঠিক করা উচিত। আপনি যদি এমন কোনোও ল্যাপটপ কিনতে চাইছেন যা বহন করতে সুবিধাজনক হয়, তবে আপনার জন্য় নোটবুক কেনাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। তবে বর্তমানে বাজারে আপনি হালকা ওজনের ল্যাপটপ খুব সহজেই কিনতে পাবেন। যা আপনার প্রয়োজন হিসাবে দামের মধ্য়ে পাওয়া যাবে।
এছাড়া নোটবুক হক বা ল্যাপটপ, কেনার সময় আপনাকে কিছু বিষয়ে লক্ষ্য করা উচিত। ল্যাপটপটির ওজন, এটি কতটা হালকা বা সরু ইত্যাদি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। আসুস সংস্থা ল্যাপটপ সবচেয়ে পাতলা ও হালকা ল্যাপটপ বানানোর জন্য় জানা যায়। এগুলো বহনের জন্য সর্বাপেক্ষা উত্তম।
ল্যাপটপের স্ক্রিনের সাইজের উপর ল্যাপটপটির ওজন নির্ভর করে। ১১ থেকে ১২ ইঞ্চি ল্যাপটপ হলো সবচেয়ে হালকা বা সরু। এর ওজন ১.১-১.৫ কেজি। ১৩ থেকে ১৪ ইঞ্চি ল্যাপটপ বহনযোগ্যতা এবং ব্যবহারযোগ্যতার জন্য আদর্শ চয়েজ। এর ওজন ১.৮ কেজির নিচে হয়ে থাকে। আপনি যদি ল্যাপটপ মূলত বাড়িতে ব্যবহার করতে চান বা মাঝে মাঝে বাইরে নিয়ে যাতে চান তাহলে আপনার জন্য ১৫ ইঞ্চি ডিসপ্লে বিশিষ্ট ল্যাপটপ ভালো হবে।
এই ধরনের স্ক্রীন সাইজের ল্যাপটপগুলোর ওজন সাধারনত ২.৫ কেজি থেকে ৩ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। আপনি যদি আরো বড় ডিসপ্লে বিশিষ্ট ল্যাপটপ চান তাহলে ১৭ থেকে ১৮ ইঞ্চির ল্যাপটপ নিতে পারেন।


৩. সস্তা ল্যাপটপ যদি কিনতে চান

আমরা সস্তার ল্যাপটপ কেনার আগে বাজারের সব থেকে সস্তা মডেলকেই প্রাধান্য দি। কিন্তু অ্যাফোর্ডেবেল মানেই কিন্তু সস্তা নয়, আর আমারা আপনাদের একটি সস্তা ল্যাপটপ কেনার পরামর্ষ দিচ্ছি তা না। আসলে আপনারা যদি নতুন ল্যাপটপ কেনার জন্য 5-6 হাজার বেশি খরচ ক্রেন তবে আপনারা আগামী দীর্ঘ সময় ধরে সন্তোষ পাবেন যে আপনারা একটি ভাল ল্যাপটপ ব্যাবহার করছেন যা অনেক দিন ধরে চলছে। যা ভাল গ্রাফিক্সের সঙ্গে ভাল র‍্যাম ইত্যাদিও দেবে।


৪. কি বোর্ড

যদি ল্যাপটপে আপনার প্রধান কাজ টাইপিং হয় তবে আপনারা এমন একটি ল্যাপটপ কিনুন যার কি বোর্ডও আপনাদের অ্যাম্পেল ট্রেবেল পাবেন (মানে ল্যাপটপের কি বোর্ড যত ডিপ হবে আপনার জন্য তত ভাল হবে), কির শেপ ভাল হওয়া দরকার, আর এর সঙ্গে এতে দরকারি রেজিস্টেন্সও থাকা দরকার, এটি এক্সট্রা অ্যাডিক্টুয় চিপ (মানে কিক্যাপ্স সেটিংসের মধ্যে প্রায় 19mm স্পেস থাকা দরকার)।


৫. র‍্যাম

আপনারা যদি ল্যাপটপে উইন্ডোস চালানোর কথা ভাবছেন তবে শুধু 2GB র‍্যাম আপনার জন্য যথেষ্ট নয়। এটি আপনাদের OS চেক করতে পারে, আর stutter ও দেখা যেতে পারে, আপনাদের প্রায় 4GB র‍্যামের ল্যাপটপ কেনা উচিত। তবে আপনারা যদি 8GB র‍্যামের ল্যাপটপ কিনতে পারেন তবে খুব ভাল্ক। আর আপনারা যদি এমন একটি ল্যাপটপ কিনতে চান যা আপনাদের পছন্দের র‍্যাম যুক্ত নয় তবে এটা জেনে নিন যে এই ল্যাপটপের র‍্যাম আপগ্রেডেবেল কিনা। এরকম করলে আপনারা ফাস্ট স্পিড পেতে পারবেন।


৬. SSD দেখে নিন (NVME বা SATA)

মনে করা হয় যে একটি সলিড স্টেট ড্রাইভ (SSD)  একটি হাই ডিস্ক ড্রাইভের থেকে দ্রুত হয়। আপনি যদি আপনারা ল্যাপটপের মধ্যে স্পিডের পার্থক্য দেখতে চান তবে আপনাদের এটা খেয়াল রাখতে হবে যে আপনারা একটি সঠিক SSD যুক্ত ল্যাপটপ কেনেন। আপনাদের বলে রাখি যে NVMe, PCle, NVME SSD আপনাদের 3500 MB/s স্পিড দিতে পারবে আর এছাড়া SATA III SSD মাত্র 500MB/s পর্যন্ত দেওয়া হবে।


৭. কয়েক জেনারেশানের পুরনো CPU যুক্ত ল্যাপটপ নেন যদি

সময়ে সঙ্গে সঙ্গে চিপ তৈরি কারি ইন্টেল আর AMD  নিজদের প্রসেসার তৈরির আর্কিটেকচার বদলে দিয়েছে,আর নতুন ইনোভেশান আপনাদের জন্য নিয়ে আসছে, ইন্টেল তাদের 7th Gen Core সিরিজ প্রসেসারের সঙ্গে Oprane নিয়ে এসেছে, আর এর মানে এই যে আপনাদের ল্যাপটপের স্পিড বেশি হবে আপনাদের বলে রাখি যে আপনারা যদি একটি ল্যাপটও কিনতে চান তবে এই বিষয়টি জেনে নিন যে এতে কত বছরের পুরনো CPU আছে।


৮. যদি USB TYPE C এর সঙ্গে ল্যাপটপ কিনতে চান

USB Type C কানেক্টার্স কেবেলের জন্য একটি স্পেসিফিকেশান মাত্র। তবে থান্ডারবোল্ড 3 য়ের ক্ষমতা একটি সেট যা USB Type C য়ের মাধ্যমে অ্যাচিভ করা যায়। আর বাজারে আপনারা এটি অনেক ল্যাপটপেই পাবেন যা USB Type C পেলেপ থান্ডার্বোল্ড 3 পাবেন না। আর তাই এটা দেখার জন্য দেখেনিন যে এটি সাপোর্ট করে কিনা।


৯. গ্রাফিক্সের প্রয়োজনীয়তা

ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স কার্ডের সঙ্গে আসা ল্যাপটপ ভিডিও ইত্যাদি হ্যান্ডেল করতে বেশি সফল হয়। আপনারা যদি ছোট হলেও ভিডিও এডিটিং বা গেমিং করেন তবে তবে আপনার ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স কার্ড সহ ল্যাপটপ কেনা উচিত। আমরা যদি এন্ট্রি লেভেলের ডেডিকেটেড GPU য়ের কথা বলি তবে এতে একটি Nvidia MX130 GPU থাকবে বা Nvidia MX 150 যুক্ত হবে।


১০. USB 3.1 GEN 1 এর বৈশিষ্ট্য

বেশিরভাগ মানুষ জানেন না যে USB 3.1 Gen 1 য়েরই অন্য নাম USB 3.0 আর এবার বাজারে আপনারা USB 3.0 ল্যাপটপ USB 31. Gen 1 পোর্টের দাবি করলে এর মানে এই যে এটি USB 3.0 ই। এর বেশি ট্রান্সফার স্পিড 5Gbps আর আপনাদের বলে রাখি যে এটি একটি ল্যাপটপ কেনার সময়ে USB 3.1 (USB 3.1 Gen 2 নামের আসে) এর বেশি ট্রান্সফার স্পিড 10Gbps।


১১. FULL HD IPS ডিসপ্লের গুরত্ব

আপনারা যদি গ্রাইক ডিজাইনের ফিল্ডে থাকেন তবে বা কোন ছবি দেখার জন্য ভাল কোয়ালিটি ভিডিও ইত্যাদি দেখেন তবে আপনাদের জন্য আমার FHD ডিসপ্লে যুক্ত ল্যাপটপ কিনতে চান তবে সে ক্ষেত্রে স্ক্রিন সাইন 14 ইঞ্চির বেশি হওয়া দরকার। আর এছাড়া আপনাদের একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে ল্যাপটপের ডিসপ্লে একটি Non-Glare IPS LCD প্যানেল যা IPS প্রযুক্তির বিষয় সুনিশ্চিত করে। আর এর সঙ্গে ম্যাট ফিনিসগ গ্লি ফিনিস নিশ্চিত করে। যা আপনাদের ব্রাইট লাইটে ডিসপ্লেতে কন্টেন্ট সহজে পড়তে পারে।


১২. ল্যাপটপের স্পিকার 

আপনি যদি নিজের অডিওফাইল মানেন তবে আপনারা ল্যাপটপের স্পিকারে বেশি ভরসা করা উচিত না। কিছু পরিচিত নাম যেমন Dolby , Harman Kardon স্পিকার্স যুক্ত হয়না। আর এতে বেশি পার্থক্য হয়না। আর স্পিকারের ক্ষেত্রে আপনি বেশি ভাল সাউণ্ড চাইলে আপনাকে আলাদা একটি স্পিকার নিতে হবে।

তথ্যঃ অনলাইন

Post a Comment

If you any Question, Please contact us.

Previous Post Next Post