www.neemkunibd.com


এ বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে বিশ্ব স্মার্টফোনের বাজার মাত্র ১.৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে বলে জানিয়েছে আইডিসি। কোভিড পরিস্থিতি এবং লকডাউনের জন্য ঠিক যতটা পতনের কথা ভাবা হয়েছিল, তার তুলনায় অনেকটাই কম। চলতি বছরের জুলাই–সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩৫৩.৬ মিলিয়ন স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছে। অথচ এই সময়কালে আইডিসি প্রায় ৯ শতাংশ বাজার পতনের আশঙ্কা করেছিল, যা বাস্তবে ঘটেনি।

স্মার্টফোনের বিশ্ববাজারে প্রখ্যাত ব্র্যান্ড অ্যাপলকে পেছনে ফেলে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন কোম্পানি হওয়ার গৌরব অর্জন করল শাওমি। ইন্টারন্যাশনাল ডেটা করপোরেশনের (আইডিসি) রিপোর্ট অনুযায়ী, এ বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) স্মার্টফোন বিক্রির দিক থেকে আইফোন নির্মাতা কোম্পানি অ্যাপলকে পেছলে ফেলে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে শাওমি।

অমডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত যে পরিমাণ আইফোন ১১ বিক্রি হয়েছে, অন্য কোনো মডেলের ফোন তার ধারেকাছেও আসতে পারেনি। আইফোন ১১–এর পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া ১০ ফোনের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে অ্যাপলের আরও চারটি মডেলের আইফোন। এগুলো হচ্ছে আইফোন এসই (২০২০), আইফোন এক্সআর, আইফোন ১১ প্রো ম্যাক্স, ও আইফোন ১১ প্রো। এর মধ্যে তালিকার ৫ থেকে ৭ নম্বরে রয়েছে এসই, এক্সআর ও ১১ প্রো ম্যাক্স মডেলটি। তালিকার ১০ নম্বরে রয়েছে আইফোন ১১ প্রো।

সবচেয়ে বড় চমক দেখিয়েছে শাওমি। বিগত বছরের তুলনায় এ বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে তাদের বিক্রি বেড়েছে ৪২ শতাংশ। বিশ্ববাজারের ১৩.১ শতাংশ শেয়ার দখল করে তারা অ্যাপেলকে টপকে গিয়েছে, বিক্রি করেছে প্রায় ৪৬.৫ মিলিয়ন স্মার্টফোন। ভারতের বাজারে তাদের বিক্রি বেড়ে যাওয়াই এই উত্থানের কারণ বলে অনেকের মত।


আইফোনের বিক্রি গত বছরের তুলনায় কমেছে প্রায় ১০.৬ শতাংশ। তৃতীয় প্রান্তিতে প্রায় ৪১.৬ মিলিয়ন আইফোন বিক্রি করে এবং ১১.৮ শতাংশ মার্কেট শেয়ার নিয়ে বিশ্ব বাজারে চতুর্থ স্থানে রয়েছে অ্যাপল। আইডিসির মতে, করোনা সম্পর্কিত প্রভাব এবং বাজারে আইফোন ১২ দেরীতে আসাটা অ্যাপলের পতনের কারণ। গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি ধারণা, এ বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে এবং আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকে ভালো অবস্থানে ফিরবে অ্যাপল।

প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ফোন এরেনার তথ্য অনুযায়ী, বছরের প্রথমার্ধে ৩ কোটি ৭৭ লাখ ইউনিট আইফোন ১১ মডেল বিক্রি হয়েছে। গত বছরের প্রথমার্ধেও অবশ্যই আইফোনের আরেকটি মডেল বিক্রির দিক থেকে শীর্ষে ছিল। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মাসে আইফোন এক্সআর মডেলটি বিক্রি হয়েছে ২ কোটি ৬৯ লাখ ইউনিট। অর্থাৎ, এ বছর করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও আইফোনের ১১ মডেলটি বেশি বিক্রি হয়েছে। আইফোন এক্সআরের তুলনায় আইফোন ১১ মডেলে অ্যাপলের সফলতা বেশি। এর অর্থ, কিছুটা সাশ্রয়ী দামে প্রিমিয়াম ফোন অ্যাপলের জন্য জাদুর কাঠি হিসেবে কাজ করেছে।


www.neemkunibd.com


যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ফোন বিক্রি করতে না পারলেও শীর্ষ স্মার্টফোন নির্মাতা কোম্পানি হওয়ার দৌঁড়ে বেশ শক্ত অবস্থানে আছে হুয়াওয়ে।জুলাই–সেপ্টেম্বর মাসে তারা বিক্রি করেছে প্রায় ৫১.৯ মিলিয়ন স্মার্টফোন, বাজার শেয়ার ১৪.৭ শতাংশ। তবে বিগত বছরের তুলনায় এই প্রান্তিকে স্মার্টফোনের বাজারে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে হুয়াওয়ে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের ফোনের বিক্রি ২২ শতাংশ কমেছে বলে আইডিসি রিপোর্টে দাবি করেছে।

বাজারে সবচেয়ে বেশি স্মার্টফোন সরবরাহকারী কোম্পানি হিসেবে এখন শীর্ষে রয়েছে স্যামসাং। যে গতিতে হুয়াওয়ে আগাচ্ছে তাতে ২০২০ সাল নাগাদ তারা স্যামসাংয়ের ঘাড়ের উপরে নিঃশ্বাস নেবে।পুরানো জনপ্রিয় ফোন নির্মাতা কোম্পানি যেমন সনি, এইচটিসি ও এলজি নিয়মিত বিরতিতে নতুন ফোন বাজারে আনতে ব্যর্থ হচ্ছে। এই জায়গা পূরণ করেছে হুয়াওয়ে। দাম ও অভিনব ফিচারের কারণে ক্রেতারা এখন হুয়াওয়ের প্রতি ঝুঁকছেন।স্যামসাং প্রথম প্রান্তিকে ৭১ দশমিক ৯ মিলিয়ন ফোন বাজারে সরবরাহ করলেও গত বছর একই সময়ের তুলনায় তাদের ফোন সরবরাহ ৮ দশমিক ১ শতাংশ কমেছে।

পঞ্চম স্থানে থাকা ভিভো তৃতীয় প্রান্তিকে বিক্রি করেছে প্রায় ৩১.৫ মিলিয়ন স্মার্টফোন এবং তাদের মার্কেট শেয়ার ৮.৯ শতাংশ।


Post a Comment

If you any Question, Please contact us.

Previous Post Next Post