বাংলাদেশে এ মাসের ১ তারিখ থেকে চতুর্থবারের মত শুরু হয়েছে দেশের সংরক্ষিত প্রাকৃতিক বনাঞ্চল ও এর জীববৈচিত্র্যের ছবি নিয়ে উইকিপিডিয়ার ছবি প্রতিযোগিতা ‘উইকি লাভস আর্থ ২০২০’ (ডব্লিউএলই)।
‘উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ’ ২০১৭ সাল থেকে প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করে আসছে। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাটি এ বছর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৩২টি দেশে । মাসব্যাপী প্রতিযোগিতাটি চলবে ১ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত।
শর্তসমূহ
- আলোকচিত্র অবশ্যই আপনার নিজের তোলা হতে হবে। তবে চিত্রের উপর ওয়াটারমার্ক অথবা যে কোন ধরণের লেখাযুক্ত চিত্র গ্রহণযোগ্য নয়।
- যে কোন সময় তোলা হোক না কেন আলোকচিত্র জুন ২০২০-এর মধ্যে আপলোড করা আবশ্যক।
- সব ছবি অবশ্যই সিসি বাই-এসএ ৪.০ লাইসেন্সের অধীনে হতে হবে (এটি আপলোডের সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হবে)।
- অংশগ্রহণকারীর অবশ্যই একটি সক্রিয় ইমেইল অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে, যাতে প্রয়োজনে আয়োজকরা যোগাযোগ করতে পারেন।
আলোকচিত্র প্রতিযোগিতার জন্য নীচের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত সমস্ত ভুক্তি এই প্রতিযোগিতার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত। অন্য কোন স্থান, তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না থাকলে, তা প্রতিযোগিতার জন্য যোগ্য হবে না।
বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সংরক্ষিত অঞ্চলের নির্দিষ্ট তালিকা থেকে যেকোনো সময় তোলা ছবি জমা দিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া যাবে। প্রতিযোগিতায় একজন একাধিক ছবি জমা দিতে পারবেন। প্রতিযোগিতা শেষে প্রতিটি দেশ থেকে সেরা ১০টি ছবি আন্তর্জাতিক জুরিদের কাছে পাঠানো হবে এবং সব দেশের ছবি থেকে সেরা ১৫টি ছবি আন্তর্জাতিকভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
আন্তর্জাতিকভাবে সেরা ১৫টি ছবির জন্য রয়েছে ২০০ হাজার ইউরো থেকে ৩০০০ ইউরো সমমূল্যের অ্যামাজন গিফ্ট ভাউচার, সার্টিফিকেটসহ আরও অন্যান্য পুরস্কার আর স্থানীয় পর্যায়েও বিজয়ীদের জন্য রয়েছে বিশেষ পুরস্কার।
আয়োজকরা বলছে, প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ৭ হাজার এমন মুক্ত ছবির একটি ডাটাবেজ তৈরি হয়েছে এবং এটি বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্র্য বিশ্বের সামনে তুলে ধরার বড় একটি মঞ্চ। প্রতিযোগিতাটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি ছাড়াও দেশের পর্যটন খাতে বিদেশি পর্যটক আকৃষ্ট করতে ভূমিকা রাখবে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে প্রথমবারের অংশগ্রহণে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের পল্লব কবিরের একটি ছবি সারা বিশ্বের ৩৬টি দেশের এক লাখ ৩১ হাজার ছবির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে ১১তম স্থান দখল করেছিল।
২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক সেরা ১৫টি ছবির মধ্যে আব্দুল মোমিনের তোলা সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের একটি ছবি ৩য় ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে তাঁর তোলা বন বাটনের অপর একটি ছবি ৮ম স্থান লাভ করে ৩২টি দেশের ৯০ হাজার ছবির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে এবং শাহেনশাহ বাপ্পির তোলা কাঠ শালিকের একটি ছবি ১২তম স্থান অর্জন করেছিল।
২০১৯ সালে ৩৭টি দেশের ৯৫ হাজার ছবির সাথে প্রতিযোগিতা করে আব্দুল মোমিনের তোলা রাতারগুল জলাবনের একটি ড্রোন আলোকচিত্র ৭ম স্থান দখল করেছিলো। প্রতিযোগিতা সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য ও বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণের বিস্তারিত জানা যাবে এখান ক্লিক করে।
আরো পড়ুনঃ
Post a Comment
If you any Question, Please contact us.